গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে এ পর্যন্ত চার জনের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তিন জন এবং বিএনপির একজন এরা হলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো.শাহিন মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো.মিলন মাহমুদ দেলোয়ার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোসাম্মাদ বিউটি সিকদার ও বিএনপির শহিদুল ইসলামের নাম শোনা যাচেছ। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো.শাহিন মৃধা বলেন,আমার বাবা বর্তমানে চেয়ারম্যান আছে। আর আমি নির্বাচন করবো কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,আমার অভিভাবক আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু ও আমাদের এমপি বিএইচ হারুন সাহেব আমার এই দুইজন মুরব্বি যদি আমাকে বলে তাহলে আসতে পারি। আর শুক্তাগড় ইউনিয়নে আমার প্রতিদন্ধি হিসাবে এখন পর্যন্ত কাউকে আমি দেখি না। বিগত দিনের যে,কয়েটি নির্বাচন হয়েছে যেমন সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে আমিই মাঠে কাজ করেছি। যাদের নাম বলেন,তাদেরকে এলাকার জনগণ চেনেনা। আমি বিগতদিন থেকে মাঠে কাজ করছি জনগণের সুবিধা অসুবিধা সকল বিষয়ে আমি চেষ্টা করি মানুষের উপকার ও সহযোগী তা করার।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো.মিলন মাহমুদ দেলোয়ারের নাম শোনা যাচেছ অনেকের মুখে। আসলে তিনি নির্বাচনে আসবেন কিনা বা নৌকার মাঝি হওয়ার চেষ্টা করছেন কিনা? এ বিষয় উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো.মিলন মাহমুদ দেলোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ইউনিয়নের মানুষ অবহেলিত ও বঞ্চিত। বিগত দিনে যে,সকল চেয়ারম্যানরা পরিষদে চেয়ারম্যান হয়ে এসেছেন তারা যে,সব কর্মকান্ড করেছেন সেটা আপনাদের কাছে ব্যাখ্যা করে বলার কিছুই নাই আপনাদের ভালোই জানা আছে? আমার উপজেলার নেতারা চায় আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। এরপরেও একটি কথা হলো আমার শুক্তাগড় ইউনিয়নের জনগণ চাইলে আমি করবো। আমি আমার এলাকার মানুষের পাশে সবসময় ছিলাম এখনও আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো।
শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক বিএনপির নেতা ব্যবসায়ী একে এম শহিদুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে অনেকের মুখে। শহিদুল ইসলাম রাজাপুর শুক্তাগড় ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ব্যাপারে মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নই। আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। সেবা করতে চাই সাধারণ মানুষের। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। বিগত দিনে যারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন তারা কে কি করেছেন সেই বিষয়ে জনগণ অবগত আছেন। আমি চাই আমার ইউনিয়নের মানুষ ভালো থাকুক। শান্তিতে থাকুক। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। তারা আমাকে সাপোর্ট দিলে আমি নির্বাচন করবো। আমার ক্ষুদ্র সাধ্য দিয়ে আগামী দিনে জনগণের পাশে থাকতে চাই। আমি জনগণের খেদমত করার সুযোগ চাই, যদি জনগণ সেই সুযোগ আমাকে দেন। তাদের সুখে দু:খে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই। শুক্তাগড় ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করতে চাই। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোসাম্মাদ বিউটি শিকদারের নাম ও শোনা যাচ্ছে কয়েকদিন যাবত। আবার কেউ কেউ বলছেন,বিউটি শিকদার নির্বাচন করলে তার সামনে দাঁড়াবার মতো প্রার্থী একজনও মাঠে নেই। এ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোসাম্মাদ বিউটি সিকদারের মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply